বরিশালে উদযাপিত হলো উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শ্মশান দীপাবলি উৎসব। বুধবার রাতে নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রয়াত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি, ধূপকাঠি ও প্রদীপ প্রজ্বালন করেন।
ঐতিহ্যবাহী এই মহাশ্মশানে শ্রদ্ধা জানাতে নেপাল ও ভারতসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারও মানুষ জড়ো হয়েছে।
৭০ হাজার সমাধির মহাশ্মশানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন ও আয়োজকদের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা হয়েছিল নিরাপত্তা বলয়।
স্থানীয়দের দাবি, দুইশ বছর ধরে চলে আসছে এ উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার শান্তি কামনা ও নিজেদের পূর্ণ লাভের আশায় প্রতি বছর ভূত চতুর্দশীর পুণ্যতিথিতে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মহাশশ্মানে উদযাপিত হয় এই শ্মশান দীপাবলি। সন্ধ্যার আগেই স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আসেন শ্মশানে। প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দীপাবলি উৎসব।
প্রয়াত স্বজনদের সমাধি সাজানো হয় পছন্দের খাবারসহ নানা উপাচারে। আত্মার শান্তি কামনায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী চলে প্রার্থনা। শুভ রায় বলেন, বাবার সমাধিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে স্মরণ করতে এসেছি। তিনি মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন, তাই তার সমাধিতে নানা ধরনের মিষ্টি সাজিয়ে উৎসর্গ করেছি।
শ্মশান দীপালি ও কালীপূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিজয় ভক্ত বলেন, প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শ্মশানটি ২০০ বছরের প্রাচীন দেশের অন্যতম বৃহৎ মহাশ্মশান। শুধু দেশেরই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম মহাশ্মশান এটি। মহাশ্মশান প্রাঙ্গণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র্যাব, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।