গত ৩০ সেপ্টেম্বর একদল যুবকের হাতে শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি। তিনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। নিজেদের লোক নয় দাবি করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।
অবশেষে অধ্যাপক ব্যানার্জিকে রাজশাহী সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ পদে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বদলি হওয়া পরিচালক বলেছেন- তিনি নিজেই বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন কিছুদিন আগে। এ কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর একদল তরুণ নিজেদের ছাত্র-জনতা পরিচয় দিয়ে মাউশির রাজশাহী কার্যালয়ে গিয়ে হেনস্তা করে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জিকে। কার্যালয়ে তালা দিয়ে পরিচালককে বের করে দেওয়া হয়। পরে তরুণদের বুঝিয়ে তালা খোলা হয়।
তবে অধ্যাপককে হেনস্তায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও ছাত্রদলের রাজশাহী কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোরাব আলী পারভেজকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। যদিও যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ অধ্যাপক ব্যানার্জিকে হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসব ঘটনার পর দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ করা হয় বিশ্বজিৎ ব্যানার্জির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি নিজেই মাউশি থেকে বদলির জন্য আবেদন করেন। অবশেষে ২৮ অক্টোবর তাকে রাজশাহী সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ পদে বদলি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি বলেন, তাকে সরাতে নানাভাবে চাপ ছিল। তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। তাই তিনি নিজে থেকেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আনিত দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি দুর্নীতি করলে তদন্তে প্রমাণ হবে। আমি কোনো দুর্নীতি করিনি।