অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার বিএনপি নেতার
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন।
উপজেলা বিএনপি নেতা মোসারব হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোসারব হোসেন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর রাণীনগর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক নবাব ভোটার না হয়েও অন্য একজন ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল থাকায় তিনি জাল ভোট দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্র ছেড়ে যান।
তিনি বলেন, পরদিন আমি পারইল ইউনিয়নের একজন অসুস্থ বিএনপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে সিলমাদার নামক স্থানে আমার সঙ্গে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক নবাবের দেখা হয়। আমি গাড়ি থামিয়ে ভেতর থেকে গ্লাস খুলে তাকে সালাম দিই এবং কুশল বিনিময় করি।
বিএনপি নেতা বলেন, সেখানে কথা প্রসঙ্গে জালভোট দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বলতে গেলে তিনি আমার ওপর রাগান্বিত হন। আমি শুধুমাত্র তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- ভাই আপনি একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ হয়ে গতকালকের জালভোট দেওয়াটা কি আপনার উচিত হয়েছে? এর বাইরে তার সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি আমার ও কর্মীদের। সেখানে কোনো ধরনের মারপিট বা তাকে কোনো প্রকার অপমান করা হয়নি। এই ছিল প্রকৃত ঘটনা, কিন্তু পরে তাকে মারপিটের অভিযোগ উঠে আমার বিরুদ্ধে; এ বিষয়ে কয়েকটি অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
বিএনপি নেতা মোসারব হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অসত্য এবং বানোয়াট। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের সময় রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এছাহক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, পারইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এচাহক সরদার উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার আবাদপুকুর-আদমদিঘী সড়কের ভেটি-সিলমাদার নামক স্থানে আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেককে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে রাস্তায় প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ উঠলে কয়েকটি অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।