Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঘরে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

Icon

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম

ঘরে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

কমলনগরে পুকুর ব্যবহারে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী আব্দুল কাদের মাঝির ছুরিকাঘাতে মো. জুয়েল নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার সর্দার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘরে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাশেম মেম্বারের গোজ এলাকার একটি মুদি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। 

মো. জুয়েল (২২) তরকারির মসল্লা কিনতে স্থানীয় একটি মুদি দোকানে যান। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাতক আবদুল কাদের মাঝি (৪৫) তাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে। লোকজন আহত জুয়েলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমাতুজ জাহারা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে থানার ওসি ও (কমলনগর রামগতি) সার্কেল (এএসপি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।  তবে ঘাতক পলাতক রয়েছে। 

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, ঘাতক কাদের মাঝি নদীভাঙার শিকার হয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে খুন হওয়া জুয়েলের বাড়ির পাশে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। প্রথম থেকেই নিজেদের পুকুর না থাকায় জুয়েলদের পুকুর ব্যবহার করে আসছিলেন ঘাতকের পরিবার। এরই মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় মনোমালিন্য হলে ঘাতক কাদেরের পরিবারকে পুকুর ব্যবহারে নিষেধ করে জুয়েলের পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির নিকটবর্তী একটি দোকানে তরকারির মসল্লা কিনতে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন হন জুয়েল । 

স্থানীয় সাবেক মেম্বার ফারুক হোসেন যুগান্তরকে জানান, পেশায় জেলে জুয়েল এক বছর হয় বিয়ে করেছেন। ঘরে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রয়েছেন। নবাগত সন্তানটি পৃথিবীর আলো দেখার আগেই বাবাকে হারিয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক কাদেরকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ঘটনাস্থলে ঘাতক কাদের মাঝিকে লোকজন রশি দিয়ে বেঁধে রাখলেও স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবুল কাশেমের ছেলে রফিক তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। 

রফিকের দাবি, তিনি বুঝতে পারেননি জুয়েল এভাবে মারা যাবেন। বুঝতে পারলে কাদের মাঝিকে তিনি ছেড়ে দিয়ে পালানোর সুযোগ করে দিতেন না।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, রফিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘাতক কাদের মাঝিকে ছেড়ে দিয়েছেন।  

কমলনগর থানার ওসি তওহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘাতক পলাতক রয়েছেন। ঘাতককে আটকের চেষ্টা চলছে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কারণ জানা যাবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম