যুবদলের অফিসে প্রতিপক্ষের হামলা-ভাঙচুর-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৩
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
শরীয়তপুর পৌরসভা এলাকায় জেলা পরিষদের সামনে পৌরসভা যুবদলের অফিসে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ৩ জন আহত হয়েছেন। এতে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার রাতে পৌরসভার জেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু চৌকদারের সঙ্গে পৌরসভা বিএনপির নেতা সুমন খানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা সেখানে ব্যাপক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পৌরসভা যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে।
এ সময় হামলাকারীরা চেয়ার, টেবিল, ২টি মাইক ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ সময় হামলাকারীরা নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।
শরীয়তপুর পৌরসভা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু চৌকদার বলেন, আমি যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বড় ধরনের মিছিল বের করি; যা অনেকের সহ্য হয়নি। তাই আমার অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালানো ও ভাঙচুর করা হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
পৌর বিএনপির নেতা সুমন খান বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে টিটু চৌকদার স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালুকে নিয়ে কটূক্তি করায় কথা কাটাকাটির একপর্যায় আমাকে মারধর করে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে পৌরসভা যুবদলের একটি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।