নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে মো. সোহেল (২০) ও মো. ইসমাইল (১১) নামের দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা দুজনেই আপন ভাই বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরের দিকে সোহেল ৭০ শতাংশ দগ্ধ এবং শিশু ইসমাইল ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একই পরিবারের বাবুল ৬৬ শতাংশ, সেলি ৩০ শতাংশ, মুন্নি ২০ শতাংশ ও তাসলিমা ৬৩ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মৃতদের মামা আবদুস সোবাহান জানান, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন। তারা সবাই একই রুমে বসবাস করতেন। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, লাইনের গ্যাস লিকেজ হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। পরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয়জনই দগ্ধ হন।
আবদুস সোবাহান বলেন, ‘আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরের দিকে আমার দুই ভাগিনা সোহেল ও ইসমাইল মারা যায়। এ ঘটনায় আমার ভগ্নিপতি বাবুল মিয়া, আমার বোন শেলী, আমার ভাগ্নি তাসলিমা এবং আমার ভাগিনার স্ত্রী মুন্নি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছে। তাদের অবস্থা ও আশঙ্কাজনক বলে ডাক্টার আমাদের জানিয়েছেন। এর মধ্যে আমার বোন শেলী লাইভ সাপোর্টে রয়েছে।’
শুক্রবার রাতে রূপগঞ্জ ডহরগাও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সবাইকে আইসিইউতে ভর্তি করান।