Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাঘার সাবেক পৌর মেয়র আক্কাসের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

Icon

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম

বাঘার সাবেক পৌর মেয়র আক্কাসের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলী।

রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর নামে দুদকে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের রাজশাহী উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা দুটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের রাজশাহী উপ-পরিচালক ফজলুল বারী।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ২২ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীসহ বাঘা পৌরসভার সাবেক পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী ও ইজারাদার মাইনুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের এডিপি ও বিশেষ বরাদ্দের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ৭৮টি প্রকল্পের ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৮৬ টাকার অনুমোদন পায় বাঘা পৌরসভা।

বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী ও তৎকালীন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমান সাতক্ষীরা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্পের ওই টাকার বিপরীতে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ টাকা আয়কর ও ভ্যাট বাবদ কেটে নেওয়ার নামে শুধু ট্রেজারি চালানের পাতায় ও চেকের পাতায় লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর করে রাখেন। কিন্তু সরকারি কোষাগারে তা জমা না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

অন্যদিকে আরেক মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৪ মে থেকে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আক্কাছ আলী বাঘা পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় ২০১৬ সালে সিএনজি, ট্যাম্পু, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড চলাচলের ফি আদায় এবং বহিরাগত ট্রাক/মাইক্রোবাস সিএনজি, ট্যাম্পু, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের টোল আদায়ের জন্য ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে ২ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ায় এক বছরের জন্য স্ট্যান্ডের ইজারা পান মাইনুল ইসলাম। 

কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী ইজারার সম্পূর্ণ অর্থ আদায় না করে মাইনুল ইসলামকে ওই স্ট্যান্ড থেকে টোল আদায়ের অনুমতি দেন তৎকালীন পৌর মেয়র আক্কাস আলী। পাশাপাশি তারা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ইজারা থেকে পাওয়া ১০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি যোগ্য এই অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক।

তবে এ মামলা দুটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপপরিচালক ফজলুল বারী।

এ বিষয়ে সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম