‘শেখ হাসিনার জায়গা হবে একমাত্র ফাঁসির মঞ্চে’
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
গণতান্ত্রিক ধারা থেকে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রবর্তন করতে ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর ঘটিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান।
সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সে দিন যা ঘটিয়েছে তাতে শেখ হাসিনার জায়গা হবে একমাত্র ফাঁসির মঞ্চে।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার নৃশংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নগর জামায়াতের আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন এবং নগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আব্দুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নগর জামায়াতের নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর এই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ থেকে চিরতরে বিচ্যুত করে ফ্যাসিবাদের পথ উন্মুক্ত করা হয়েছিল। জামায়াতের তিনজন মন্ত্রী গোটা পৃথিবীকে জানিয়েছিল তারা দুর্নীতিকে প্রশয় দেয় না। জামায়াতে ইসলামী প্রমাণ করেছিল তারা সৎভাবে দেশ পরিচালনায় সক্ষম। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিনের সেই ঘটনা ইতিহাসের সমস্ত বর্বরতাকে হার মানিয়েছিল। শেখ হাসিনা খুন, হত্যা, দুর্নীতি, লুটপাট, বিরোধীদলকে হত্যার ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন। তার জায়গা হবে একমাত্র ফাঁসির মঞ্চে।
সভাপতির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছিল; যার মাধ্যমে তারা দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। জামায়াতে ইসলামীসহ সব বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াতের কর্মীদের হত্যা করেছিল। হত্যাকারীদের বিচার বাংলার মাটিতে হতে হবে।