নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় আরও ৪ অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। তাদের কাছ থেকে ২টি শটগান, ৪টি রামদা, ২টি ছুরি, ৩টি বাটন মোবাইল ও ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আবুল কালাম ওরফে কালন ও তার অনুসারী একই ইউনিয়নের মেহরাজ (৪৬), মো. লিটন (৩২), মো. সাদ্দাম (২৬), আবির মিয়া (১৮)।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল রিফাত আনোয়ার তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে একই দিন ভোরে উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কালন তার কয়েকটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুসারীদের কাছে রাখতে দিয়েছিলেন। পরে তার অনুসারীরা ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টিকটক করে অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট দেয়। পরে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয়দের নজরে আসে। ওই সূত্র ধরে যুবদল নেতা কালনের অনুসারী আবির, সাদ্দামসহ কয়েকজনকে যৌথবাহিনী আটক করে। পরবর্তীতে তাদের ভাষ্যমতে যুবদল নেতা কালনকে গ্রেফতার করা হয়।
সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবদুর রহিম রিজভী বলেন, তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি শুনেছি। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।
নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল রিফাত আনোয়ার আরও জানান, জেলার নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণকারী সন্ত্রাসীসহ সব অস্ত্রধারীদের আটক, অবৈধ মাদক কারবারি এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী চরমটুয়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে অবৈধ অস্ত্রধারী ৫ জনকে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।