ঐতিহাসিক পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা।
রোববার বিকালে নগরীর লিচুবাগানে দলীয় কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবির।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক সিদ্দিক আহমেদ। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকাসহ সারা দেশে যে নৃশংসতা চালানো হয়েছিল, তার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের সূচনা ঘটে। সেদিন শহিদ শিপন, শহিদ মুজাহিদ, শহিদ জসিমসহ অনেকেই শাহাদাত বরণ করেন। এভাবে লাশের ওপর নৃত্য করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিষ্ঠুরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
সিদ্দিক আহমেদ বলেন, যুদ্ধ ব্যতীত বিশ্বের কোনো দেশে এভাবে সাধারণ জনগণের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়নি। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা এবং ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, তাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসবাদী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত উল আলম। তিনিও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করা উচিত। রাজনৈতিক শৃঙ্খলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে, যেন দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যদি আগামীতে তারা পুনরায় সংগঠিত হয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের সহায়তায় তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. শামিম উদ্দিন। এতে শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।