ফরিদপুরে ইজিবাইক ছিনতাই করতে গিয়ে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার অপরাধে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দিকনগর ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের বাসিন্দা শহীদ শেখ (৩৮) ও নজরুল শিকদার (৩৩)। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের অম্বিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাব্বি খান (২৩)। আর এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা না থাকায় অপর আসামি মো. আরিফুল ইসলামকে (২৬) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চারজন যুবক গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাবুল হোসেন মোল্লার (৩০) ফরিদপুর শহরে আসার উদ্দেশ্যে ইজিবাইকটি ভাড়া করেন। ফরিদপুর এসে ওই রাতেই যাত্রীরা শহরতলীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তার ঢালে বাবুল হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে রেখে যায়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করলে বাবুলের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন।

ওই বছরের ২৪ মার্চ বাবুলের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, বর্তমানে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাদের কাছে এটা একটি কড়া বার্তা। এ রায়ের ফলে দেশে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে এবং সমাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসতে ভূমিকা রাখবে।