বন্যহাতির তাণ্ডবে আমন খেত নষ্ট, কৃষক দিশেহারা
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ পিএম
অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পর এবার শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে বন্যহাতির তাণ্ডব। বন্যহাতির দল সীমান্তবর্তী উঠতি আমন ফসলের মাঠে হামলে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি করতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে একদল বন্যহাতি পাহাড়ি এলাকার আনাগোনা শুরু হয়েছে।
কৃষকের আমন ধান খেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে। এখনো বন্যহাতির দল পাহাড়ের বনে অবস্থান করছে। যে কোনো সময় নেমে আসতে পারে আমন ধানের ক্ষেতে। সীমান্তের অনেক কৃষক বন্যহাতির তাণ্ডবের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত রাত কাটাচ্ছেন।
মঙ্গলবার প্রায় সারা রাত ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্র কুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা, ফেকামারী ও তালতলা এলাকায় বন্যহাতির দল তাণ্ডব চালায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৪০-৫০টির একদল বন্যহাতি দিনের বেলায় গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের সন্ধানে কৃষকের রোপণ করা আমন ধান খেতে নেমে আসছে। বন্যহাতির দলটি ফসলের খেত খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
পানিহাটা এলাকার কৃষাণি বিধবা মুর্শিদা বেগম (৬০) জানান, তার আবাদি ১০ কাঠা জমি হাতিরদল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করেছে। এখন তিনি কি খাবেন,কি করবেন তা ভেবে ক‚লকিনারা পাচ্ছেন না।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমন মৌসুমের এই সময়ে বন্যহাতির দল কৃষকের ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে সামনের বোরো আবাদে তাদেরকে সরকারিভাবে প্রণোদনা আওতায় আনা হবে।