কাপ্তাইয়ে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩২ পরিবারকে বনবিভাগের সহায়তা
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় লোকালয়ে ঢুকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করছে বন্যহাতি। এতে জনমনে আতঙ্ক কাটছে না। ইতোমধ্যে বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩২ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বনবিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মোট সাত লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের কাপ্তাই সদর ও রাইখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, রাঙামাটির কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের রাইখালী রেঞ্জ এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩২ পরিবারের মাঝে মোট ৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের সময় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির উপদ্রব বেড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই আশপাশের লোকজনের আতঙ্ক বেড়ে যায়। বিভিন্ন এলাকায় রাত জেগে পাহারা দিতে হয় বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় প্রায় সময় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বন্যহাতির পাল। এ সময় মানুষের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। ব্যাপক ক্ষতি করছে বাগানের ফসল। ২১ অক্টোবর রাতজুড়ে তাণ্ডব চালায় বন্যহাতির একটি পাল। এতে ক্ষতিসাধিত করেছে কাপ্তাই পুলিশ সার্কেল অফিসের ব্যারাকে।
এর আগে ১৬ অক্টোবর বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাপ্তাই সীতারঘাট মন্দিরের কয়েকটি স্থাপনা। এছাড়া কাপ্তাইয়ের ব্যাঙছড়ি, ডংনালা, রাইখালী, চিৎমরমসহ বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ বন্যহাতির তাণ্ডব বেড়ে গেছে। বনে খাদ্য সংকটে বন্যহাতির পাল লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী আমাদের সম্পদ। তাই তাদের ওপর আক্রমণ করা যাবে না। বন্যহাতি বা অন্য যে কোনো বন্যপ্রাণী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন স্থানে বন্যহাতির যে উপদ্রব বেড়েছে, তাতে সবাইকে সতর্কতায় থাকতে হবে। কিন্তু কেউ যাতে বন্যহাতিকে আক্রমণ না করে সেদিকে সর্বোচ্চ নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে বনবিভাগকে খবর দিতে হবে। খবর পেলে বনবিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে।