সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে
ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
কুমিল্লায় অসাধু সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় শাকসবজি বিক্রি শুরু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
‘কৃষক-জনতা জিন্দাবাদ, সিন্ডিকেট মুর্দাবাদ’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর পূবালী চত্বরে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়। ভ্রাম্যমাণ এ বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা, আলু কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, মাঝারি লাউ ৩০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা, পেঁপেঁ ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে এক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা চেয়েছেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অসাধু সিন্ডিকেটের অপতৎরতা ঠেকাতে আমাদের এ উদ্যোগ। সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ১০ দিন আমরা এ কার্যক্রম চলমান রাখব।
তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুমিল্লার পূবালী চত্বরে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্যের ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যে দামে বিক্রি করছেন তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম। বাজার থেকে কম দামে পণ্য কিনতে পারায় অনেকেই ভিড় করছেন এ দোকানে।
কামাল উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। মানুষ স্বল্প মূল্যে যেখানে পাবে সেখান থেকেই বাজার করবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা। আর শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুবই কাজে আসবে।