ধোপাজান নদীতে অভিযান, বালুভর্তি ১৩৪ বাল্কহেড-নৌকা জব্দ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০০ পিএম
সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। বিজিবি, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গত দুই দিনব্যাপী ডলুরা ও বিশ্বম্ভরপুর সীমান্ত পর্যন্ত ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বালুভর্তি ১১৮টি বাল্কহেড ও বেশ কিছু ড্রেজার মেশিন আটক করা হয়। এদিকে সদর থানার এসআই ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও ১৭টি বালুভর্তি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে চলছিল বালু লুটের মহোৎসব। পুলিশের জনবল কম থাকায় অনেকবার বালু লুটেরাদের হামলার শিকার হওয়ায় কিছুতেই থামানো যাচ্ছিল না বালুখেকোদের তাণ্ডব। অবাধে বালু লুটের কারণে সরকার হারাচ্ছিল মোটা অংকের রাজস্ব। এ অবস্থায় বালুখেকোদের আগ্রাসন বন্ধে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের আব্দুল আলী জানান, ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে বেশ কিছুদিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল একটি বালুখেকো চক্র। সদর থানার এসআই ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে পুলিশ বালু লুঠেরাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে তাদের ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন কিছু পুলিশ সদস্য। জনবল কম থাকায় পুলিশের একার পক্ষে ওই বালু সিন্ডিকেটকে আটকানো সম্ভব ছিল না।
স্থানীয়রা বলছেন, যৌথবাহিনীর অভিযানের পর এখন বালু লুট বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজমুল হক জানান, সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, বিজিবি ও ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ডলুরা ও বিশ্বম্ভরপুর সীমান্ত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বালুভর্তি বাল্কহেড ও বেশকিছু ড্রেজার মেশিন আটক করা হয়েছে। এছাড়াও সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে আরও কয়েকটি বালুভর্তি নৌকা আটক করা হয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।