যৌথ বাহিনীর অভিযান
গাজীপুরে ৬০ কোটি টাকা মূল্যের বনভূমি উদ্ধার
গাজীপুর ও কালিয়াকৈর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বিটের পূর্বচান্দরার মুন্সিরটেক এলাকায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের ৬ একর বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে সেনা, আনসার, র্যাব, পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে বনখেকোদের কবল থেকে বনের ওই জমি উদ্ধার করা হয়।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহম্মেদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একশ্রেণির বনখেকো গাজীপুর বন বিভাগে ব্যাপক আগ্রাসান চালায় এবং গত দুই মাসে অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজার ঘর-বাড়ি, দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলে। স্থানীয়দের অভিমত সম্প্রতি বনভূমি দখল করে যে হারে ঘর-বাড়ি গড়ে উঠেছে- এভাবে অভিযান চালালেও এসব উচ্ছেদ করতে হলে অন্তত ৬ মাস লাগবে।
এই উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল আলম, শামসুল আরেফীন, কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম, শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান এবং রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা জুয়েল রানাসহ বন ও যৌথ বাহিনীর শতাধিক কর্মকর্তা এবং সদস্য।
কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম জানান, উদ্ধার হওয়া ৬ একর জমির আনুমানিক বাজার মূল্য আছে ৬০ কোটি টাকা; যা সম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া এ জমিতে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ঢাকা বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল আলম জানান, সম্প্রতি এবং দীর্ঘদিন ধরে দখল হয়ে থাকা বন বিভাগের এই সম্পত্তি ফেরত আনতে বিভিন্ন সময়ে দখলদারদের মৌখিক ও লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অভিযানের পূর্বে মাইকিং করাও হয় কিন্তু কোনোভাবেই তারা জমির দখল ছাড়ছিল না। শেষ পর্যন্ত বুধবার বন বিভাগ স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হই।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহমেদ বলেন, বন বিভাগের সংরক্ষিত জমি অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই জমি থেকে গাছ নিধনসহ নানা ধরনের অপরাধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। বন বিভাগ তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে, কিন্তু দখলদারদের প্রতিহত করতে পারেনি। তাই আমরা যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করেছি।