নোয়াখালী আদালত প্রাঙ্গণে আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত করেছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এমনভাবে ফিরে আসায় জেলাজুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন সকালে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন হত্যা মামলায় আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী সমবেত হন। পরে শুনানি শেষে আদালত থেকে সাবেক এমপি একরামুলকে কারাগারে নেওয়ার সময় নেতাকর্মীরা সাবেক এমপি একরামের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকেন। ওই সময় নেতাকর্মীরা ‘একরাম ভাই ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের আইনজীবী ফোরামের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত ছিল, তারা ভুল করেছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক কোর্টে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। এমপি একরামের রিমান্ডের আবেদনের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তখন আমি স্কটে সামনে ছিলাম। পেছনে কী হয়েছে বলতে পারি না।
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন সাবেক এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন নিহতের ঘটনায় দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক এমপি একরামুলকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১নং আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর নিহত ট্রাক শ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি করেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবিরা এক পালটা মিছিল বের করে চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া। এরপর তারা জেলা পিপি জুয়েল ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেনের ব্যক্তিগত চেম্বারে তালা লাগিয়ে দেয় এবং তাদের কোর্টে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে খুনের মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের আহবান জানান।