মাঝ পদ্মায় দুই ফেরির সংঘর্ষ
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
হঠাৎ ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের মাঝ পদ্মায় দুইটি ফেরির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরকে অপর রো রো ফেরি ভাষাশহীদ বরকত পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর এবং ওই ফেরিতে থাকা একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ সাধারণ যাত্রী ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালকরা ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা ফেরি দুটির চলাচল বন্ধ রাখেন। এতে আটকে থাকা যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারের যাত্রী হাসান মামুন বলেন, তাদের ফেরিটি (বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর) মাঝ নদীতে পৌঁছে কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকে। এ সময় সতর্ক করার পরও আমাদের ফেরিকে অপর একটি ফেরি ডান পাশে আঘাত করে। এতে তাদের গাড়ির পেছনের অংশ ভেঙে যায়।
মাইক্রোবাসযাত্রী সদর উপজেলার খানখানাপুর দত্তপাড়ার হাসান বেপারী বলেন, অনেকদিন পর প্রবাস থেকে দেশে ফিরছি। সঙ্গে পরিবারের শিশু-বয়স্কসহ অনেকেই ছিলেন। হঠাৎ করে ফেরিতে আঘাত করায় ফেরির রেলিং ভেঙে আমাদের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেবেছিলাম ফেরি থেকে গাড়ি ছিটকে নদীতে পড়ে গেছে।
বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের মাস্টার হাসান আলী বলেন, মাঝ নদীতে পৌঁছে কুয়াশায় আটকা পড়ি। কিছুক্ষণ পর পেছনে ফেরি ভাষাশহীদ বরকতকে দেখে মাইকে সতর্ক করি। তারপরও বরকত ফেরিটি আমাদের ফেরির সামনের পকেটে আঘাত করে। এতে ফেরির গেট ভেঙে একটি প্রাইভেটকার ও একটি মাইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফেরিরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।
ভাষাশহীদ বরকতের মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, কুয়াশায় দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল সমস্যা হবে না। তাই পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় স্রোতে ফেরির মুখ ঘুরে গিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আঘাত লাগে। এটা দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই না।
ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিক, চালক, যাত্রীরা সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ফেরি দুটি প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ রাখেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুনরায় ফেরি চালু করেন।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, উভয়পক্ষের কথা শুনে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ভাষাশহীদ বরকত ফেরির মাস্টারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।