নিখোঁজের দুই দিন পর ঢামেকে মিলল অধ্যক্ষের লাশ
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
নিখোঁজের দুই দিন পর নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাওয়া গেছে।
অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের মৃত্যুর খবরে পরিবার ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা।
রোববার রাতে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের মৃতদেহ রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার অনার্সের ১ম বর্ষে ভর্তি ফি অতিরিক্ত আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানকে দেড় ঘণ্টা কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও শিক্ষকরা তালা খুলে অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানকে মুক্ত করে। এ সময় অভিযোগের বিষয়ে রোববার ছাত্র শিক্ষক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমান।
শুক্রবার সকালে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের বাসা থেকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমান। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার বিকালে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার স্বামী মো. ফজলুর রহমান নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক জানান, অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাওয়া গেছে।
এসআই আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জহির নামে জনৈক ব্যক্তি ফজলুর রহমানকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। এরপর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ৭টায় মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, নেশা জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মূল রহস্য জানা যাবে।