প্রেমের ‘অপরাধে’ কিশোরকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এক কিশোরকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম রাজু মিয়া (১৭)। সে উপজেলার শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গামতি গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গামতি গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে রাজু মিয়া (১৬) অভাবের সংসারে বাবার সেঙ্গে কৃষিকাজে সহায়তা করে। সম্প্রতি প্রতিবেশি হাফিজুর রহমানের মেয়ের সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এ ভালাবাসা মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবার। এর জের ধরে গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে নিজ বাড়ির সামনে থেকে মেয়ে পক্ষের লোকজন তাকে ধরে হাফিজুরের আঙ্গিনায় নিয়ে যায়। আম গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। খালেক, করিম, রবিউল, সেহেরুলসহ ১৫/২০ জন রাজুকে বেদম প্রহার করে। মারধরে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে পুলিশে সোর্পদ করে।
রাজুর দাদি রেজিয়া বেওয়া (৮০) কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মোর নাতিক আনি দ্যাও। বিনা দোষে ওরা ছইলট্যাক গরুর মতোন ডাংগাইলো।’
স্থানীয় বাসিন্দা রানা বেগম, বুলবুল মিয়া, আবদুল লতিব, মাহফুজা বেগম ও গাউছুল আযম বলেন, ছেলেটার কোনো দোষ নাই। মেয়েটার সঙ্গে তার ভালোবাসার সর্ম্পক ছিল। এই ভালোবাসার অপরাধে ছেলেকে ধরে নিয়ে তারা বেদম মারধর করেছে। হাফিজুর গায়ের জোরে লোকজন ভাড়া করে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।’
মেয়ের বাবা হাফিজুর রহমান বলেন, মেয়েকে বারবার বিরক্ত করে আসছে রাজু। তাই তাকে ধরে একটু শাসন করা হয়েছে।’
মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘ছেলেটিকে মারধর করা ঠিক হয়নি। পরিস্থিরি কারণে তাকে থানায় নিয়ে ১৫১ ধরায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’