Logo
Logo
×

সারাদেশ

দেড় মাস ধরে নিখোঁজ জান্নাত, বাদীর প্রশ্ন পুলিশ কী করছে?

Icon

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

দেড় মাস ধরে নিখোঁজ জান্নাত, বাদীর প্রশ্ন পুলিশ কী করছে?

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাগরফেনা গ্রামের মো. জামাল সরকারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস গত ৫ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন।  ছয়দিন খোঁজাখুঁজির পর জান্নাতকে না পেয়ে তার মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী আব্দুল করিমের ছেলে তারেক মাহমুদকে (মুন্না) প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের নামে  একটি অপহরণ মামলা করেন তিতাস থানায়। 

মামলার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও জান্নাতকে উদ্ধার করতে পারেনি এবং তিনি জীবিত না মৃত তাও নিশ্চিত করতে পারছে না পুলিশ। এদিকে মুন্না তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির হেফাজতে আত্মগোপনে তাকলেও  গ্রেফতার করেছে না পুলিশ।  পুলিশের এমন উদাসীনতা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। 

দুই সন্তানের জননী জান্নাত বেঁচে আছে না মেরে ফেলেছে এমন খবর পেতে এবং মেয়েকে খুঁজে পেতে পুলিশের ধারে ধারে ঘুরছে ভিকটিমের মা হালিমা বেগম। এলাকাবাসীর ধারণা, মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জান্নাতের সন্ধান পাওয়া যাবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, একই উপজেলার কানাইনগর গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয় জান্নাতকে, তার দুইজন পুত্র সন্তান জন্ম রয়েছে।  এরই মধ্যে সাগরফেনা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে তারেক মাহমুদ মুন্না জান্নাতকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।  এতে জান্নাত রাজি না হলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রলোভন দেখান এবং বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে জান্নাত রাজি হলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রথম স্বামীর সঙ্গে জান্নাতের বিচ্ছেদ ঘটে। 

পরে সাগরফেনা গ্রামবাসী মুন্নাকে বিয়ে করার চাপ দিলে গড়িমসি করে তার পরিবার। কয়েক দফা বৈঠক হলে এক পর্যায় মুন্না জান্নাতকে বিয়ে করতে রাজি হন ও একদিনের সময় নেন। সুচতুর মুন্না একদিনের সময় নিয়ে ওইদিন রাতেই সৌদি আরব চলে যান। এক বছর পর দেশে এসে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেন মুন্না। বিষয়টি ভিকটিম জানতে পাইলে মুন্না তাকে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন এবং বলে আসে অতীতের ঘটনা নিয়ে বারাবাড়ি করলে আর আমার সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হলে তোকে অপহরণ করে গুম করে ফেলব। যেই কথা সেই কাজ; গত ৫ সেপ্টেম্বর মুন্না জান্নাতকে ফোন দিয়ে বলেন ‘তোর সঙ্গে কথা আছে, আমার সঙ্গে দেখা কর। ’

গত ৫ সেপ্টেম্বর জান্নাত তার দুই সন্তানকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে গৌরীপুর মাল্টিমিডিয়া স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে উপজেলার সিকদার রোড বাস স্টেশনে নেমে যান মুন্নার সঙ্গে দেখা করতে। এর পর থেকেই জান্নাত নিখোঁজ রয়েছে। 

ভিকটিমের মা হালিমা বেগম বলেন, আজ দেড় মাস হলো আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।  আসামি মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে না পুলিশ। তিনি আরও বলেন, আমি কুমিল্লা এসপি স্যারের কাছে গিয়েছি; থানায় প্রতিদিন যাচ্ছি- শুধু বলে আমরা চেষ্টা করছি। বাদীর প্রশ্ন পুলিশ কি চেষ্টা করছে? মুন্না তার শ্বশুর-শাশুড়ির হেফাজতে থেকে বউ নিয়ে সংসার করছে, সেখানে পুলিশ যায় না। এক পর্যায় হালিমা বেগম কান্না করে বলেন, আমি কি আর আমার মেয়েকে পাব না?

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কাউছার বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এবং মোবাইল নাম্বার ট্যাগ করে কিছু লোকেশন পায়েছি। কিন্তু সেখানে মুন্না নাই। তার পরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম