কক্সবাজারে ধর্ম উপদেষ্টা
শাসন করতে আসিনি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছি
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকার নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ভোটিং কালচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করার পরই নির্বাচন দেওয়া হবে। যাতে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে দেশ একটি নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সরকার এ অবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। ভোটিং কালচার নষ্ট হয়ে গেছে, আমরা সেটি পুনরুদ্ধার করতে চাই। এজন্য রাষ্ট্র সংস্কার, নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং ভোটার হালনাগাদের কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন তাদের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুন হওয়া বা গুম হওয়ার ঘটনা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অমার্জনীয় অপরাধ।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহিদের সংখ্যা ৭৫২ জন হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে এবং তাদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমরা শাসন করতে আসিনি; বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছি। আমি মনে করি, এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশে আবারও দুর্যোগ নেমে আসবে।
কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জেলা নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী, শিক্ষাবিদ শফিকুল হক, প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এস এম আমিনুল হক চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাশদিদ উর রেজা।
এর আগে দুই দিনের সফরে কক্সবাজার আসেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি কক্সবাজারের মডেল জামে মসজিদ এবং বদর মোকাম জামে মসজিদ পরিদর্শন করেন। জুমার নামাজ শেষে তিনি বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের উদ্বোধন করেন। বিকালে তিনি জেলা প্রশাসনের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন এবং রামু উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।