ইলিশ ধরায় বাধা দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ওপর হামলা, আহত ১০
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে কারেন্ট জাল বিক্রি ও ইলিশ ধরায় বাধা দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ঘোড়াঘাট এলাকায় গজারিয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
কাজিরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীরা হামলা করেছেন বলে দাবি আহতদের।
কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলায় আহত মাইদুল মীর জানান, জয়নগর ইউপি সদস্য মো. হোসেন হাওলাদারের গজারিয়া নদীর ঘোড়াঘাট এলাকায় মুদি দোকান রয়েছে। তিনি মুদি মালের আড়ালে দোকানে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি করেন এবং স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে চুক্তি করে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকার করেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার ভাই সাইদুল মীর ঘোড়াঘাট এলাকায় অবস্থানকালে কারেন্ট জাল বিক্রি ও জেলেদের সঙ্গে চুক্তির সময় ইউপি সদস্যকে বাধা দেন এবং সরকারি আইন মেনে চলার অনুরোধ করেন। এতে ইউপি সদস্য ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য কাজিরহাট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী লিটন গাজী, দুলাল গাজী ও সোহাগ গাজীসহ ২৫-৩০ জন সাইদুল মীরকে মারধর শুরু করেন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে নেয়ামুল সিকদার, মাইদুল মীর, হৃদয় সিকদারসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে সাইদুল মীর ও নেয়ামুল সিকদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. হোসেন হাওলাদার জাল বিক্রি ও ইলিশ শিকারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইদুল মীর জেলেদের থেকে ৮০০ টাকার ইলিশ মাছ কিনে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে ওই নেতার সঙ্গে জেলেদের কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হতে পারে।
কাজিরহাট থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিয়ে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।