Logo
Logo
×

সারাদেশ

তিন ভাইয়ের মধ্যে কে ‘আলাল’?

Icon

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম

তিন ভাইয়ের মধ্যে কে ‘আলাল’?

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মাত্র ১২ শতাংশ জমির মালিকানা পেতে তিন ভাই তাদের সবার একই নাম ‘আলাল’ দাবি করেছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারা গ্রামের মৃত মজির উদ্দিনের তিন ছেলে একটি জমির নামজারির আবেদনের বিপরীতে উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে এই দাবি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া মমতাজ বলেছেন, সম্প্রতি তিন ভাইয়ের নাম সংক্রান্ত এই জটিলতার কারণে তাই ওই জমিটার নামজারি দেওয়া হয়নি।

জানা যায়, উপজেলার গৌরিপুর মৌজার ১৯৬৮ সালে রেজিস্ট্রি করা ১২ শতাংশ জমি নামজারির জন্য মো. আলাল নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি আবেদন করেন। আবেদনটি যাচাই-বাছায়ের এক পর্যায়ে তার আরও দুই ভাই ওই জমি নিজের বলে দাবি করে তাদের স্বপক্ষে কাগজপত্র জমা দেন।

সেই কাগজ পত্রে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার গোসাইপুর এলাকার মো. আলাল হোসেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম সাল রয়েছে ১৯৭১। অপরজন ঠেঙ্গামারা গ্রামের মো. বেলাল হোসেন, যিনি আদালতে এভিডেভিট করে নাম পরিবর্তন করে আলাল রেখেছেন। ভোটার আইডি কার্ডে তার জন্ম সাল রয়েছে ১৯৭০। অথচ আলোচিত জমিটা রেজিস্ট্রির সাল ১৯৬৮। প্রথম আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম সাল রয়েছে ১৯৬৩।

স্থানীয়রা জানায়, জমির মূল মালিক মজির উদ্দিনের পাঁচ স্ত্রী, ১১ ছেলে ও ৪ মেয়ে। তিনি ছেলে-মেয়েদের তেমন খোঁজ খবর রাখতেন না। আলোচিত জমিটি কার নামে তা কেউ জানতো না। আগে থেকেই মজিরের বড় ছেলে মকবুল হোসেন চাষাবাদ করেছে। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বেলাল ওই জমিটা ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে একজনের নিকট কর্জ দেয়। গত ৯-১০ বছর আগে তাদের পিতা মারা গেলে জমি-জমা ভাগাভাগির সময় ওই জমির দলিল পাওয়া যায়। তখনো তারা তিনজনই ওই জমি নিজের বলে দাবি করেছিলেন। তখন গ্রাম্য সালিশে কাগজপত্র দেখে আলাল ওরফে বাবুলালকে দেওয়া হয়। পরে সে ওই কর্জের ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করে জমিটি নিজের ভোগদখলে নেয়। এখনো তার দখলেই রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে আলাল নামের তিন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে তারা ভিন্ন স্থানে বসবাস করেন। প্রকৃতপক্ষে তারা তিনজনই একই পিতার সন্তান। মা ভিন্ন হওয়ায় এবং ভিন্ন স্থানে বসবাস করার সুবাদে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাদের দাবি। তারা তিনজনই ওই জমিটি নিজের বলে দাবি করে তার স্বপক্ষে কাগজপত্র রয়েছে বলে জানান।

মজিরের বড় নাতি মুক্তার হোসেন বলেন, প্রকৃত জমির মালিক ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করা আলাল ওরফে বাবুলাল। তার দাদা ওই জমিটা ১৯৬৮ সালে তার ওই চাচাকে দিয়েছিলেন। অপরদিকে, অন্যায়ভাবে জমিটা নিজের দাবি করা দুই চাচা তার সমবয়সী। তাদের দুইজনেরই জন্ম ১৯৭০ সালের পরে। তাই কোনোভাবেই ওই জমি তাদের হতে পারে না।

বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নের সম্প্রতি দায়িত্ব পাওয়া প্যানেল চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম