Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৮

Icon

নেত্রকোনা ও খালিয়াজুরী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৮

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কৃষ্ণপুর বাজারে মো. কায়েস মিয়ার লোকজনের সঙ্গে তারেক মিজান গ্রুপের মো. শুক্কর আলীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার কৃষি কমিটি গঠন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুপক্ষ। এতে উভয়পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাতে শুক্কর আলী একপর্যায়ে একটি ভবনের বের হয়ে থাকা রড ও তারকাঁটার উপর গিয়ে পড়লে বাম পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হন। আহতরা খালিয়াজুরী হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন- কৃষ্ণপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে হাসাইন (১৯) ও ফাহিম মিয়া (১৫), সোহাগ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৬), মহসিন মিয়ার ছেলে হাসিম (১৫), মৃত কনা মিয়ার ছেলে ফজল আমিন (৩৫), আক্কল আলীর ছেলে শুক্কর আলী (৪২), আ. হাসিমের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (৩২) এবং মতিউর রহমানের স্ত্রী নাপিয়া বেগম (৩৫)।

এ বিষয়ে আহত শুক্কর আলী বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। হঠাৎ করে কায়েস মিয়ার লোকজন নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে এবং আমার লোকজনকে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। 

অপরপক্ষের মো. কায়েস মিয়া জানায়, কৃষি কমিটি গঠন করতে দুপক্ষের বাগবিতণ্ডার জেরে এমন সংঘর্ষ হয়েছে। তবে উভয়পক্ষই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমি এলাকায় নানান অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারেক মিজান ও সম্পাদক এনামুল হক সোহেল আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করেন। এ কারণেই আমার লোকজনের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

খালিয়াজুরী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. এনামুল হক ছোটন বলেন, ছোট একটি বিষয় নিয়ে এমন ঘটনা দুঃখজনক।

এ বিষয়ে খালিয়াজুরী বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মাহবুবুর রহমান কেস্ট জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছি। দলের অন্যদের সঙ্গে কথা বলব, যাতে এমন ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে এবং স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসা করে দেব। 

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন জানান, হাসপাতালে আহত রোগীদের দেখতে গিয়েছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম