কমলনগরে ৭ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক, ভোগান্তিতে জনগণ
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে দুটি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ৭ চেয়ারম্যান দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে পলাতক রয়েছেন। তাদের কোনো খোঁজখবর নেই। তারা কোথায় আছেন, সঠিক ঠিকানাও কেউ জানে না। পলাতক থাকায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ এবং যথাসময়ে পাচ্ছেন না জন্মসনদ, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য সনদ ও প্রত্যয়নপত্র। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা।
পলাতক চেয়ারম্যানরা হলেন- হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ. লীগের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, পাটওয়ারীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু, সাহেবেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, চরমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউছুফ আলী মিয়া, চরফলকন ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাঘা ও তোরাবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা আশরাফুল জামান রাসেল।
আত্মগোপন থাকা চেয়ারম্যানরা নিজ এলাকার ভোটারদের ফোনও রিসিভ করছেনা। অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন দিলে রিসিভ করেই অসুস্থ বা কাজে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। তারা কে কোথায় আছেন জানতে চাইলে কেউই সঠিক ঠিকানা দিচ্ছে না।
সেবা নিতে আসা মো. সাকায়েত উল্যাহ বলেন, একটা প্রশংসাপত্র আর ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য এক সাপ্তাহ ধরে চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ঘুরতেছি। অনেক ঘুরাঘুরি করার পর ইউপি সচিবের সহযোগিতায় কাজটা করতে পেরে এ প্রতিবেদককে বলেন, এভাবে ইউনিয়ন পরিষদ চলতে পারেনা। চেয়ারম্যানরা এমন কি অপরাধ করছে, যে সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকেও পালাতে হবে?। পলাতক এসব চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন সাকায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, আ.লীগ সরকারের সময়ে চেয়ারম্যানরা লুটপাট করে খেয়েছেন, তাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা।
কমলনগর ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোট ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যানই পলাতক রয়েছেন। কোথাও কোথাও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কিছু কিছু দলীয় মেম্বার ও নারী মেম্বারও আত্মগোপনে চলে যান। এতে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যথাসময়ে পাচ্ছেন না জন্মসনদ, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য সনদ ও প্রত্যয়নপত্র। তবে চরকাদিরা ও চরকালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান দুইজনই যথারীতি তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।