গাজীপুরে শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ
জয়দেবপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
গাজীপুরে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের নামে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় তৃণমূল শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সোমবার বিকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, উপজেলার ভবানীপুরের বেগমপুর গ্রামে অবস্থিত পলমল সাফা সোয়েটারস লিমিটেড-২ কারখানায় কয়েকশ শ্রমিক দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
গত ১২ অক্টোবর পূজার ছুটির দাবিতে প্রথমে কর্মবিরতি করেন এবং পরে ভবানীপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রায় ২শ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী চাকরিচ্যুত করে এবং তাদের সব পাওনাদি পরিশোধের অঙ্গীকার করে।
১৪ অক্টোবর শ্রমিকদের ভবানীপুরের সাফারি পার্ক রোডের একটি রেস্টুরেন্টে বসে তাদের পাওনাদি পরিশোধ করা হবে জানানো হয়। বকেয়া টাকার জন্য শ্রমিকরা সেখানে উপস্থিত হলে জনৈক শামীম খান ও ফাতেমা আক্তার নামে দুজন ব্যক্তি যারা নিজেদের বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন এবং শ্রমিকদের প্রাপ্য অর্থের একটি বড় অংশ দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৭ হাজার টাকা করে আদায় করেন। অভিযোগ করা হয়েছে, মোট ১৪ লাখ টাকা ওই ফেডারেশনের নামে হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
এ অবস্থায় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং ভবিষ্যতে কোনো কারখানায় চাকরি করতে না দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় সুমনসহ অন্যান্য শ্রমিকরা জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ করেন, যেখানে অভিযুক্ত দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাতীয় তৃণমূল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শামীম খান জানান, শ্রমিকদের টাকা জোরপূর্বক আদায়ের বিষয় আমার জানা নেই। তবে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছিলেন বলে প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার জানান, তাদের কাছ থেকে কোনো জোরপূর্বক টাকা নেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করায় তারা আমাদের খুশি হয়ে যা দিয়েছেন সেটাই আমরা নিয়েছি।
পলমল সাফা সোয়েটারস লিমিটেড কারখানার প্রশাসন কর্মকর্তা রেজা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে প্রতিবেদককে জানান।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।