Logo
Logo
×

সারাদেশ

২ সেতুর বাতি জ্বলে না, আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

Icon

কাজী সোহেল, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ পিএম

২ সেতুর বাতি জ্বলে না, আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ঢাকা-বান্দুরা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুটি সেতুর প্রায় সব বাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে রয়েছে। সন্ধ্যার পর সেতু দুটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কখনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, কখনো পথচারীরা ছিনতাইয়ের শিকার হন। মাদকসেবীরা সেতুতে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, আবার কখনো অসামাজিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে। নবাবগঞ্জের মরিচা এলাকায় ইছামতী নদীতে ও তুলসীখালী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এ সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এ সড়ককে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর বাইপাস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সড়কপথে যাতায়াতের জন্য এ সেতুগুলো ব্যবহার করে থাকেন।

সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ১২ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নবাবগঞ্জের মরিচা ও তুলসীখালী এলাকার সেতু দুটি উদ্বোধন করেন। এর কয়েক বছর পর থেকে একটি-দুটি করে বাতি নষ্ট হতে থাকে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ২০০৭ সাল নাগাদ সেতু দুটির সব বাতি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বছর খানেক আগে কর্তৃপক্ষ কয়েক দিনের জন্য বাতিগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এর কিছুদিন পরই আবার বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, মরিচা ও তুলসীখালী সেতুর অনেক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ল্যাম্পপোস্টের গোড়ার মাটি সরে গেছে। খুঁটিগুলো হেলে পড়ছে। বাতিগুলো হয় ঝুলে আছে, নয়তো ভেঙে পড়ে গেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক স্কুলশিক্ষক বলেন, সন্ধ্যার পর এ সেতুগুলো মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়। এ মাদকসেবীরাই অনেক সময় পথচারীদের টাকা, মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। মরিচা এলাকার আব্দুর রহমান ব্যাপারী বলেন, সড়ক বিভাগের লোকজন ইচ্ছা করলেই এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সেতুর সংযোগ সড়কের কাছে মাঝেমধ্যে পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসালেও ওই এলাকায় কোনো বাতির ব্যবস্থা নেই। রাতের অন্ধকারে প্রায়ই যাত্রীরা ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। সড়ক বিভাগ মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, ‘সেতুগুলোতে বাতি জ্বলে না বিষয়টি আমার নজরে আছে। ওই সেতুর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে বলেছি সেতু দুটির বাতিগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা নিতে। শিগগিরই বাতিগুলো আবার জ্বলতে শুরু করবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম