ব্রাহ্মণপাড়ায় অন্তঃসত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৪ এএম
প্রতীকী ছবি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মুন্নি (২৪) নামে এক অন্তঃসত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। মুন্নি উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া (সদর) গ্রামের মাহফুজের স্ত্রী, তার শ্বশুর স্বর্ণকার পলাশ। মুন্নি উপজেলার দীর্ঘভূমি গ্রামের শহিদ মিয়ার মেয়ে।
মুন্নির ফুফু স্বপনা আক্তার জানান, দেড় বছর আগে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী পলাশের ছেলে মাহফুজের সঙ্গে পরকীয়া করে মুন্নি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রথমে কুমিল্লা শহরে কয়েক মাস ভাড়া থেকে পরে চট্টগ্রামে বসবাস করে।
এর আগে মুন্নির দেবিদ্বার উপজেলার ফাতেহাবাদ গ্রামের সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। ওই সংসারে লামিয়া (৯) ও লামহা (৩) নামে দুই জন সন্তান রয়েছে। তার আগের স্বামী আব্দুল কুদ্দুস বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন।
শুক্রবার অন্তঃসত্ত্বা মুন্নির বর্তমান স্বামী মাহফুজের সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে প্রাইভেটকার দিয়ে স্বামীর বাড়ি ফিরছিলেন। আসার পথে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার সাহেবাবাদ বাজারের দক্ষিণ পাশে মাহফুজ প্রাইভেটকার থেকে নেমে যায়। পরবর্তীতে প্রাইভেটকারের ড্রাইভার ইমদাদুল মিজান মুন্নিকে প্রাইভেটকারের মধ্যে পরে থাকতে দেখে তাকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্নির ২ থেকে ৩ ঘন্টা আগে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। মুন্নি ১০ মাসের অন্তঃসত্বা ছিল।
এ বিষয়ে মুন্নির ফুফু স্বপ্না বলেন, মুন্নির কাছে তার স্বামী প্রায়ই টাকা চাইতেন। আমরা গত সপ্তাহে তার স্বামীকে বিকাশের মাধ্যম টাকা পাঠিয়েছি। আমার ভাইয়ের মেয়ে মুন্নিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি মেয়েটি সন্তান ডেলিভারির তারিখ অনেক আগেই চলে গেছে। আজ স্বামী-স্ত্রী একটি প্রাইভেটকারযোগে চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণপাড়া আসছিল। পথে মুন্নির অবস্থা খারাপ দেখে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কুমিল্লা নেওয়ার পথে সে মারা যায়।