সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনসহ ২২ জনের নাম উলেখপূর্বক অজ্ঞাত ৮০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব মণ্ডল বাদী হয়ে রৌমারী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় উপজেলা শাখর সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা (৩৫) ও ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আহম্মেদকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চর শৌলমারী ইউনিয়নের খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টিতে ৬ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর রয়েছে।

বিদ্যালয়টির এমপিওভুক্তির কথা বলে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের নির্দেশে দলীয় ক্যাডার দ্বারা শিক্ষক প্রতি ১০ লাখ এবং কর্মচারী প্রতি ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। 

একপর্যায় ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সব শিক্ষক কর্মচারী মিলে ২৭ লাখ টাকা তাদের কাছে দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালে আবারো শিক্ষকপ্রতি ১০ লাখ এবং কর্মচারী প্রতি ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। 

এ সময় শিক্ষক কর্মচারী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে দলীয় ক্যাডাররা বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। পরে শিক্ষকরা আবারো ১ লাখ চাঁদা দেন। সব মিলে ২৮ লাখ টাকা তাদের দেওয়া হয়। পরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব মণ্ডল এসব টাকা ফেরত চাইলে তারা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। 

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার আব্দুল ওয়াহাব মণ্ডল বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।  এ ঘটনায় সোহেল রানা ও সবুজ আহম্মেদকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন পলাতক থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। দুইজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।