Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিক্ষকের বস্তাবন্দি লাশ মিলল পুকুরে

Icon

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম

শিক্ষকের বস্তাবন্দি লাশ মিলল পুকুরে

নিখোঁজের ১৪ দিন পর কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহৃত শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের মরদেহ তার নিজ বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষকের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানায়, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এরপর  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে শিক্ষকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ কাজ করছে। 

শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ জানান, গত মাসের ২৯ সেপ্টেম্বর  রাত ৯টার দিকে তার বড় ভাই পেকুয়া সদরের চৌমুহনীতে অবস্থান করেছিল বলে বিভিন্নজন জানান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন এবং মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ না পাওয়ায় থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাও দায়ের করা হয়।

শুক্রবার বিকালে তাদের বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুরে বস্তাবন্দি অবস্থায় থেকে তার বড় ভাইয়ের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। 

জানা যায়, শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের বাড়ি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া এলাকায়। তিনি ওই গ্রামের মরহুম মাস্টার বজল আহমদের ছেলে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অহরণের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তার পরিবার থেকে  মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার পিতা রমিজ আহমদের বসতবাড়ি দুইটি দ্বিতল ভবনে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। 

পরে চৌমুহনীর চেয়ারম্যানের ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজমগীর ওরফে আজমের মালিকানাধীন মার্কেটের দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষক আরিফের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আরিফ হত্যাকাণ্ড খুবই মর্মান্তিক।

এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সরকার পতনের পর বিভিন্ন মামলা দিয়ে আমি ও আমার ভাইদের এলাকা ছাড়া করেছে। শুনলাম আজকে আমাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে, লুটপাট করেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম