বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুবদল কর্মী হত্যা, যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত উপজেলা যুবদল সদস্য আবু রায়হান রাহিম হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা আবদুস সোবহান (৩৫) গ্রেফতার।
বৃহস্পতিবার সকালে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার জেকে কলেজ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিল সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে নেতাকর্মীরা হামলা চালান।
এ সময় উপজেলার চকসুখানগাড়ি গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে উপজেলা যুবদল সদস্য আবু রায়হান রাহিম (২৯) ডান পায়ে কয়েকটি গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাহিমকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি গত ৯ আগস্ট মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহত রাহিমের মা রওশন আরা বেগম দুপচাঁচিয়া থানায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, গোপনে খবর পেয়ে ঢাকার সাভার থেকে রাহিম হত্যা মামলার নামীয় আসামি যুবলীগ নেতা আবদুস সোবহানকে গ্রেফতার করা হয়। বগুড়া আনার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোহবান দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুণাহার ইউনিয়নের তালুচ গ্রামের কলম উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে এ হত্যা মামলার আসামিরা দাবি করেন, আবু রায়হান রাহিম রাজনীতি না করলেও তাকে উপজেলা যুবদলের সদস্য দাবি করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি মিছিল থেকে থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ অস্ত্রটি উদ্ধার করে গুলি করলে রাহিম আহত হয়েছিলেন।
এছাড়া নিহত রাহিমের মা রওশন আরা বেগম জানান, দলের লোকজন মামলার কাগজে তার কাছে শুধু স্বাক্ষর নিয়েছেন। কাকে আসামি করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না। নিরাপরাধদের আসামি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার মতো যেন অন্য ভিকটিমের স্বজনরা ভুল না করেন।