পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসানের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ভবদহে জলাবদ্ধতার শিকার গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। সঙ্গে ছিল সমস্যা সমাধানের টেকনিক্যাল টিম। তারা দিনভর ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। পলি পড়ে এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ নাব্য হারিয়েছে। এতে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হয় না। দীর্ঘ চার দশক স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার। অবর্ণনীয় দুঃখের মধ্যে চলে ওই অঞ্চলের মানুষের জীবন। যে কারণে ভবদহকে ‘যশোরের দুঃখ’ হিসাবে অভিহিত করা হয়। 

ভবদহের সমস্যা সমাধানে বহু আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। এর সমাধানে এ যাবত যত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে কোনো সুফল আসেনি। এমন পরিদর্শনে রোববার ভবদহ অঞ্চলের মানুষ স্থায়ী সমাধানের দাবি নিয়ে অবস্থান নেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। 

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি যশোর নেতাদের উদ্যোগে কালেক্টরেট চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসান। এ সময় তিনি জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠাবেন।

 উপদেষ্টার নির্দেশে বৃহস্পতিবার ভবদহ এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান ও তার টেকনিক্যাল টিম। 

এদিন সকালে অভয়নগর উপজেলার ভবদহ অঞ্চলের আমডাঙ্গা খাল ও ভবদহ স্লুইস গেট পরিদর্শন করেন। কথা বলেন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে। বিকালে যশোর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ভবদহ পারের বাসিন্দা ও জেলার সুধীসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 

সভায় ভুক্তভোগীরা তাদের মতামত প্রদান করেন। সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, আমরা সরেজমিন ভবদহবাসীর দুঃখ দেখেছি। ভুক্তভোগীদের দাবি শুনেছি। এবার স্থায়ীভাবে এই সমস্যা সমাধান করার জন্য বড় প্রকল্প নেওয়া হবে।