এএসআইয়ের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় সাংবাদিক জেলে
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে বিজয়নগর থানার এএসআই আব্দুল করিমের পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ উঠেছে। পরকীয়া প্রেমের বাধা দেওয়ার সাংবাদিক এসএম গোলাম কিবরিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিজয়নগর থানার এএসআই আব্দুল করিমের পরকীয়া চলে আসছিল। হঠাৎ তাদের এ পরকীয়ার অশালীন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কল হিস্টোরি সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়ার হাতে চলে আসে। তাছাড়া দুজনের মধ্যে বিভিন্ন সময় অডিও-ভিডিওকলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছবি আদান-প্রদানের তথ্য দেখা যায়।
ফাঁস হওয়া কল লিস্টে দেখা যায়, একদিন রাত ১২টা ৪৩ থেকে ২টা ৭ মিনিট পর্যন্ত ৪ বার ভিডিও কলে ৯১ মিনিট; আরেক দিন রাত ১১টা ৪১ থেকে ২টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত ৫ বারে ভিডিও কলে ৮৭ মিনিট; আরেক দিন রাত ১২টা ৪৩ থেকে ১১টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত ৩ বারে ভিডিও কলে ৭১ মিনিট কথা বলেন।
জানা যায়, ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন। এ সুযোগে বিজয়নগর থানার এএসআই আব্দুল করিম তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। একপর্যায়ে তাদের এ পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গেলে ওই গৃহবধূর দেবর সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া এ থেকে বিরত থাকতে বলেন। গোলাম কিবরিয়া তাদের অবৈধ সম্পর্কের পথের কাঁটা হওয়ায় ওই গৃহবধূকে দিয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করায়।
গত ৫ অক্টোবর রাতে এ মামলায় এসআই ইউনূস ও এএসআই আব্দুল করিম গোলাম কিবরিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী জানান, আমি আমার সন্তানকে শাসন করার পর আমার শাশুড়ি ও কিবরিয়া আমাকে নির্যাতন করে। এ বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেন। আমি থানার অভিযোগ করার পর করিম স্যার তদন্ত করতে যায়। তখন থেকে স্যারের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা হতো। এর বাহিরে আমাদের মধ্যে কিছু নেই।
এএসআই আব্দুল করিমের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও কলে কথা বলার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাতে আমাকে মারার জন্য আমার শাশুড়ি ও কিবরিয়া দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে আমি করিম স্যারকে ভিডিও কলে দেখিয়েছি। করিম স্যারের সঙ্গে পরকীয়ার কথা মিথ্যা।
অভিযুক্ত এএসআই আব্দুল করিম বলেন, একটা অভিযোগের ব্যাপারে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওই নারীর সঙ্গে একদিন কথা হয়েছিল। তবে তার সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।