বিক্রয় নিষিদ্ধ প্রায় ২১ কোটি টাকা মূল্যের তিমি মাছের বমি উদ্ধার
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
কক্সবাজার টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ২০ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) উদ্ধার করেছে। পাচারের সঙ্গে জড়িত সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের নির আহমদের ছেলে শামসুল আলমকে (৩৫) আটক করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়া এলাকা দিয়ে চোরাচালানি মালামাল পাচার হতে পারে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর এবং শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দুইটি টহলদল বাজারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন শামসুল আলমকে (৩৫) আটক করে। পরে তার হাতে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে একটি বালতি হতে বিক্রয় নিষিদ্ধ ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা করে অ্যাম্বারগ্রিসের বৈশিষ্ট্য এবং শনাক্ত সম্পন্ন করা হয়।
উক্ত অ্যাম্বারগ্রিসে সিনথেটিক পদার্থের মিশ্রণের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অ্যাম্বারগ্রিস চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পাচার করে চোরাকারবারি যেকোনোভাবে গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এছাড়াও আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে অ্যাম্বারগ্রিসের চালান তৃতীয় পক্ষের নিকট বিক্রির চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, মূলত বিভিন্ন উন্নত দেশে চোরাচালান করা হয় এবং অ্যাম্বারগ্রিস হতে বিভিন্ন মূল্যবান পারফিউম ও ওষুধ তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য জিনিসের চোরাচালান অত্যন্ত বিরল ঘটনা।
ওই অ্যাম্বারগ্রিস কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে (ট্রেজারি শাখায়) জমা করে আটককৃত আসামিকে মোবাইল ফোনসহ তার বিরুদ্ধে অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) অবৈধভাবে নিজ হেফাজত রাখা ও চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।