কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ
বানের পানিতে জাল ফেললেই উঠে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলছে মাছ ধরার উৎসব। বাড়ির উঠোনে, সড়কে, মাঠে জাল ফেললেই উঠে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পর এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এলাকায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক বন্যা। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি পানিতে সয়লাব হওয়ার পাশাপাশি ভেসে যায় শত শত পুকুরের মাছ। আর সেই মাছগুলো ধরা পড়ছে জালে।
সরেজমিন নালিতাবাড়ী-নকলা সড়কের নয়ানিকান্দায় গিয়ে দেখা যায়, লাইন দিয়ে ছিপ জাল দিয়ে মাছ ধরায় ব্যস্ত লোকজন। টানে টানে উঠে আসছে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, সিলভার, কার্ফুসহ নানা জাতের নানা সাইজের মাছ। কিছুক্ষণ মাছ ধরার পর পানির দামে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সেসব মাছ।
পশ্চিম কাপাশিয়া গ্রামের কলিম উদ্দিন জানালেন, তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। বন্যার পানিতে তার বাড়ি ঘরে পানি উঠে গেলে, বাজার থেকে ছিপ জাল কিনে দুদিন যাবত মাছ ধরছেন। দুদিনে তিনি ১১ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। একই গ্রামের শাহজাহান মিয়া ৯ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছেন।
পৌর শহরের ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, বড় কাতল, রুই-মৃগেলসহ নানা জাতের ৩৯ কেজি মাছ কিনেছেন দুই হাজার টাকায়। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ৯-১০ হাজার টাকা।
এভাবে জায়গায় দাঁড়িয়ে মাছ বিক্রি করতে পেরে এবং পানির দামে মাছ কিনতে পারায় ক্রেতারাও খুশি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমারের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ২ হাজার ৫৭টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে মাছচাষিদের ক্ষতি হবে কমপক্ষে ১১ কোটি টাকা।