রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া নিষিদ্ধ পল্লিতে সুমি আক্তার মিতা (৩১) নামের এক যৌনকর্মীকে হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ তার বসতঘরের কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করে।

মিতা পল্লির জাহাঙ্গীর ও দবিরের বাড়ির দোতলায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তার বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায়। তিনি ৭-৮ বছর ধরে এ পল্লিতেই বসবাস করছিলেন।

পুলিশ ও যৌনপল্লি সূত্রে জানা গেছে, মিতা রোববার রাত ১১টার দিকে পাশের সাঈদের বাড়ির ড্যান্স ফ্লোরে নাচগান করেন এবং মদ খান। পরে সেখান থেকে একজন খদ্দের নিয়ে নিজ ঘরে ফিরে আসেন।

সোমবার সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও তাকে না দেখতে পেয়ে বাড়ির অন্য মেয়েরা মিতার দোতলার কক্ষে যান। সেখানে তারা মিতার কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান এবং মিতাকে ভেতরে জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিছানায় মৃত দেখতে পান। এ সময় তার গলায় একটি ওড়না পেঁচানো ছিল। এ ঘটনায় যৌনপল্লিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে মিতার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মুকিত সরকার এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। সেখানে সুরতহাল রিপোর্ট করে দুপুর ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, নিহত মিতার আফরিন নামে ৪ বছর বয়সি একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন কী কারণে এবং কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।