Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৭ এএম

কুড়িগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।

রোববার দুপুর ও বিকালে উপজেলা শহরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলের সমর্থকদের মধ্যে দুই দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা শহরের উমেষ চন্দ্র ক্লাব নামে একটি ঘর আওয়ামী লীগের কব্জা থেকে দখলে নেয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের সমর্থকরা। তখন থেকে তারা সাইনবোর্ড লাগিয়ে ওই ক্লাব ঘরকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। রোববার উপজেলা বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান মুকুলের বাবার মৃত্যুর খবরে তার জানাজায় অংশ নিতে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। জানাজায় অংশ নেওয়া নিয়ে উপজেলার নাওডাঙা পুলেরপাড় এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। সেখান থেকে ফিরে সভাপতি গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কার্যালয়ে অবস্থান করা অবস্থায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী বিনা উসকানিতে তাদের ওপর হামলা চালায় ও কার্যালয়টি ভাঙচুর করে। এতে তাদের কয়েকজন আহত হয়।

সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার খবরে তার পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে রোববার বিকালের দিকে উপজেলা প্রশাসন চত্বরের সামনে অবস্থিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের নিয়ন্ত্রণাধীন দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন।এ ঘটনায় চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি নজির হোসেনের সমর্থক উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সামছুজ্জামান হাসু বলেন, ‘বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার আওয়ামী লীগের কিছু লোকজনকে দলে অন্তর্ভুক্ত করায় বিবাদসৃষ্টি হয়েছে। তারা আমাদের ওপর হামলা চালায় ও পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। আমাদের ৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল বলেন, ‘সভাপতি নজির হোসেনের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। তারা প্রথমে আমাদের নেতাকর্মীকে ঘরের ভেতর আটক করে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। তাদের মারপিটে ৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মনিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কতজন আহত হয়েছেন তার সঠিক খবর আমাদের কাছে নেই। তবে একজন হাসপাতালে ভর্তি বলে খবর পেয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম