কালাইয়ে জাল সনদে নৈশপ্রহরীর চাকরির অভিযোগ
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
জয়পুহাটের কালাইয়ে একটি স্কুলের নৈশপ্রহরী মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য গোপন করে জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত তিন বছর ধরে তিনি উপজেলার কুসুমসাড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন।
জানা গেছে, কুসুমসাড়া গ্রামে মৃত ছামছদ্দিনের ছেলে মেহেদি হাসান। তার ইউনিয়নের রাঘবপুর চৌমূহনী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা না করে অষ্টম শ্রেনীর জাল পাশের সনদ দেখিয়ে চাকরি করে আসছেন। নৈশপ্রহরী মেহেদি হাসান কুসুমসাড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদকে আট লাখ টাকা দেওয়ার বিনিময়ে এ চাকরি করছেন বলে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা।
স্থানীয় কুসুমসাড়া ও সাতার গ্রামের হুমায়ন কবির, করিম সাখিদার নাফির, জুয়েল রানাসহ অনেকে জানান, নৈশপ্রহরী মেহেদি হাসানকে কোনো দিন রাঘবপুর চৌমুহনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করতে বা স্কুলে যেতে দেখেনি। তার পরিবার বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অষ্টম শ্রেনীর পাশের জাল সনদ দিয়ে চাকরি করছে।
জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেদি হাসান জানান, জাল সনদ নয়, আসল সনদ দিয়ে তিনি চাকরি করছেন। সে ওই স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।
কুসুমসাড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ প্রায় এক বছর আগে থেকে মালয়েশিয়া থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
রাঘবপুর চৌমূহনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকতারুজ্জামান জানান, সে তার স্কুলের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী নয়। তার সিল জাল করে ৮ম শ্রেণীর পাশের সনদ তৈরি করেছেন।
কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছি, সঠিক তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নাই, অভিযোগ পেলে অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।