জামায়াত কর্মী মিজান হত্যা
বগুড়ায় আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
প্রতীকী ছবি
বগুড়ায় ১১ বছর আগে জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমান মিজান হত্যার ঘটনায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত মিজানের বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সদর থানায় এ মামলা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওসি এসএম মঈনুদ্দীন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজি জুয়েল, বগুড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু প্রমুখ।
এজাহার সূত্র ও পুলিশ জানায়, নিহত জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমান মিজান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরকার বাড়ি গ্রামের আবু কালাম সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়া সদরের সাবগ্রাম মাস্টারপাড়ায় বসবাস ও মুরগির হ্যাচারিতে কাজ করতেন।
তিনি ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বেলা পৌনে ১টার দিকে বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকায় একটি প্লাজার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিজানকে ঘিরে ধরেন।
প্রধান আসামি আল রাজি জুয়েলের হুকুমে ৫নং আসামি সম্পদ পশারী হত্যার উদ্দেশ্যে বার্মিজ চাকু দিয়ে মিজানের পেটে আঘাত করেন। আসামি সঞ্জু সরকার উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। অন্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে আঘাতে মিজানের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বগুড়া সদর ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের সময় নিহত জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে তার বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ১১ বছর পর ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী। তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।