ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৩০ কিমি যানজট
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল ও ভূঞাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
টানা বৃষ্টি, সড়ক দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। শুক্রবার ভোর থেকে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব থেকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা পর্যন্ত এই যানজট সৃষ্টি হয়।
এদিকে মহাসড়কে যানজট থাকায় ভূঞাপুরের যমুনা সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছেন ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহণগুলো।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এলেঙ্গা-কালিহাতী লিংক রোডে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক সড়ক থেকে সরাতে কিছুটা সময় লাগায় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এরপর বাস ও ট্রাক সরিয়ে নিলে সড়ক স্বাভাবিক হচ্ছিল। তবে পরপর আরও দুই থেকে তিনটি দুর্ঘটনা ও টানা ভারি বৃষ্টির কারণে সড়কে গাড়ির গতি কমে যায়। বর্তমানে যমুনা সেতু পূর্ব থেকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। মাঝে মধ্যে গাড়ি সামনের দিকে এগিয়ে গেলেও আবার থেমে যাচ্ছে। এ কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের।
কাওরান বাজার থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী ট্রাকের চালক আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় কাওরান বাজার থেকে তিনি রওনা হয়েছেন। একদিকে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, আরেকদিকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে যানজট লেগে যায়। শুক্রবার বেলা ১১টায় তিনি যানজট ঠেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত এসে পৌঁছেছেন।
গাজীপুর থেকে ছেরে আসা বাসের যাত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টায় তিনি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল শহর বাইপাসে যানজটে আটকা পড়েছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন নান্নু খান, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে কালিহাতী লিংক রোডে একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চার যাত্রী নিহত হয়। মহাসড়কটিতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, বিভিন্ন ছোট বড় দুর্ঘটনা, যানবাহন বিকল এবং ভারি বর্ষণ হওয়ায় দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাক অপসারণ করতে কিছুটা সময় লেগে যায়। এ কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে সড়কে গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। এরমধ্যে এ সড়কে দুই থেকে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা ও টানা ভারি বৃষ্টির ফলে সড়কে যানবাহনের ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।