শেরপুরে আকস্মিক বন্যা, পানিবন্দি ২ উপজেলাবাসী
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
ছবি:সংগৃহীত
শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২৫ সেন্টিমিটার এবং ভোগাই নদীর পানি ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সদর উপজেলায় ১৭৭, নালিতাবাড়ীতে ২২৫ এবং নাকুগাঁওয়ে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর প্রবল বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি দুকূল উপচে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উপজেলার সদর বাজারসহ ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে দুকূল উপচে প্রবাহিত হওয়ায় পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ দুইটি উপজেলার গ্রামীণ অধিকাংশ রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘরে হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. অশরাফুল আলম রাসেল বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের আংশিক প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢলের পানি উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানিবন্দিদের উদ্ধার করার জন্য কাজ করছে। বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিকালের মধ্যেই আকস্মিক বন্যার পানি কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, উপজেলার পোড়াগাঁও, রামচন্দ্রকুড়া ও নয়াবিল ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের আকস্মিক বন্যায় খুবই খারাপ আকার ধারণ করেছে। এসব গ্রামের কোথাও কোথাও কোমর ও গলা পরিমান সমান পানি হওয়ায় মানুষজন নিরাপদ আশ্রয় চলে গেছেন। অনেকেই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।