ছাত্র আন্দোলনে শহিদ সাদ হত্যা মামলা
ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১২ এএম
ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.মানোয়ার হোসেন চুনকুকে ও নিজ বাস ভবন থেকে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কফিলউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে শহিদ হয় কলেজ ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ। সেই হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।
ধামরাই থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃর্ত্বে শহিদ কলেজ ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ সহ সঙ্গী ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পৃথক দুটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহির এপিএস মানোয়ার হোসেন চুনকু এবং ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিলউদ্দিনকে তার নিজ বাস ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের পারিবারিক সূত্র দাবি করেছেন তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে পুলিশ। পুলিশের গুলিতে কলেজ ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ নিহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবরটি ফলাও করে প্রচার হয়েছে। অথচ পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। মামলা হয়েছে নির্দোষ-নিরপরাধ নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নামে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে অন্তরবর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা মামলার আসামি হয়েছেন তাদেরকেই গ্রেফতারের নির্দেশ রয়েছে। দোষ-নির্দোষের বিচার করার এখতিয়ার একমাত্র আদালতের। এক্ষেত্রে পুলিশের কোন কিছুই করার নেই।