Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে হানা, ধরা পড়ল ৫ মণ ওজনের কুমির

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম

হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে হানা, ধরা পড়ল ৫ মণ ওজনের কুমির

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দুর্গম চর ঘাসিয়ার একটি বাড়ি থেকে প্রায় ৫ মণ ওজনের একটি বড় কুমির ধরা পড়েছে। হাঁস মুরগির খোঁয়াড়ে হানা দিলে স্থানীয়রা কুমিরটি ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বন বিভাগসহ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে।

এছাড়া প্রায় ২০ দিন আগে আরও একটি কুমির দেখা মেলে ওই চরে। তবে সাইজে ওই কুমিরটি ছোট ছিল। বারবার কুমির দেখা মেলায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

উদ্ধার হওয়া কুমিরটি বাবুল নামে এক ভাসমান জেলের পায়ে কামড় দিয়ে মাংস নিয়ে গেছে। পরে তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক, মান্নান ও শরীফসহ কয়েকজন জানান, বুধবার দিবাগত রাতে রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়ার মাঝিবাড়ির একটি হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে হানা দেয় কুমিরটি। এতে বাড়ির লোকজন কুমিরটি দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন কুমিরটি ধরে চান্দারখাল মাছঘাটে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কুমিরটি স্থানীয়দের কাছ থেকে উদ্ধারের পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।

চর ঘাসিয়ার বাসিন্দা শাহ আলম মাঝি বলেন, কুমিরটি আমার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোরে আমাদের বসতবাড়িতে কুমিরটি আসে। পরে সেটি বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে যায়। সারাদিন ওই পুকুরেই ছিল। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবগত করি। তারা কুমিরটি ধরার উদ্যোগ নেয়। পরে রাতে কুমিরটি আমাদের হাঁসমুরগি খেতে খোঁড়ায়ে হানা দেয়। তখন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেখান থেকে কুমিরটি ধরতে সক্ষম হই।

মোবারক মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মেঘনা নদীর দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবন এলাকা থেকে স্রোতের সঙ্গে কুমিরটি আমাদের অঞ্চলে চলে আসে। পরে মেঘনা নদী থেকে চরের ফসলি ক্ষেত অতিক্রম করে কুমিরটি ঘটনাস্থল এসে অবস্থান নেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা খলিল মাঝি ও শরীফ হোসেন জানান, চরের দিকে আরও কুমির থাকতে পরে। গত এক মাস আগ থেকে লোকজন নদীতে এবং খালে কুমির দেখতে পায়। গত দুই সপ্তাহ আগে আলতাফ মাস্টারের পুরাতন মাছঘাটে বাবলু নামে এক ব্যক্তিকে একটি কুমির কামড় দেয়। তার ডান পায়ের উপরের অংশের মাংস ছিঁড়ে নেয়। তাকে বরিশালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রায়পুর উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্যার কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় খাবারের খোঁজে কুমির এ অঞ্চলে চলে আসতে পারে। তবে কোন এলাকা থেকে এসেছে তা বলা যাচ্ছে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম