কালীগঞ্জে বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির আলোচনা সভা শেষে কথা কাটাকাটির জের ধরে জাইদুল হক শ্যামল নামে এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের শফিকুল মার্কেটের আরাফাত হোটেলের সামনে।
জাইদুল হক শ্যামল (৫২) মোক্তারপুর মধ্যপাড়া এলাকার মৃত ইঞ্জিনিয়ার গিয়াসউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক কামালের বড় ভাই।
নিহতের একমাত্র মেয়ে সিলবিয়া (১২) বলে- চার বছর বয়সে মাকে হারিয়েছি। তারপর থেকে বাবাকে নিয়েই আমার জীবন। শেষপর্যন্ত সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে বাঁচতে দিল না। আমি কোথায় যাব, কাকে নিয়ে আমি বাঁচব। আমি এর বিচার চাই।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার আসরের নামাজের পর মোক্তারপুর সেগুনতলা বাজারে ওয়ার্ড বিএনপির আলোচনা সভা হয়। সভা শেষে নেতাকর্মীরা একই গ্রামের গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শফিকুল মার্কেট অবস্থান করছিল। এ সময় নিহতের ছোট ভাই ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক কামাল শফিকুল মার্কেট আসেন। পরে মনির ওরফে চোরা মনিরের সঙ্গে দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে সেলিম, সামসু, মনিরসহ তাদের কয়েকজন সহযোগীরা এসে উত্তেজিত হয়ে মারমুখী হয়। পরে যুবদলের নেতার বড় ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে কী হয়েছে জানতে চাইলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর নোবহা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে হাসপাতালের কর্তব্য চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার সেলিম মিয়া (৫০), শামসু মিয়া (৫৫), মনির হোসেন (৫০) ও কবির মিয়া (৪৫)। এদের মধ্যে সেলিম মিয়া উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সহ-সভাপতি। অন্যরা সবাই বিএনপির সমর্থক।