Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাসপাতালে ঢুকে ৩ চিকিৎসককে মারধর, মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাই

Icon

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম

হাসপাতালে ঢুকে ৩ চিকিৎসককে মারধর, মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাই

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ২০-২৫ জনে একটি দল হাসপাতালে প্রবেশ করে এ হামলা করে। এ সময় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) চন্দন দাসের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়েছেন- এমন অভিযোগ আহতদের।

জানা যায়, বুধবার দুপুরে ২০-২৫ জনের একটি দল হাসপাতালের মধ্যে এসে জরুরি বিভাগ থেকে স্যাকমো চন্দন দাসকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নেয়। জরুরি বিভাগের সামনে বসেই বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া ও মেডিকেল অফিসার ডা. রেজোয়ানা মেহজাবিন বন্যা ঠেকাতে আসেন। তখন এই দুই চিকিৎসককেও মারধর করেন হামলাকারীরা।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেজোয়ানা মেহজাবিন বন্যা বলেন, স্থানীয় মো. শিমুল শেখ নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল জরুরি বিভাগ থেকে স্যাকমো চন্দন দাসকে বের করে বেধকর মারপিট করতে থাকে। আমি এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা আমাদেরও মারধর করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শিমুলের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরাও হামলায় অংশগ্রহণ করেন। হাসপাতালে ভিতরে এ ধরনের ঘটনা আমাদের খুবই হতাশ করেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা হামলাকারীদের বিচার চাই।

স্যাকমো চন্দন দাস বলেন, জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা দিচ্ছিলাম। আমাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে জরুরি বিভাগের সামনে বসেই মারধর করতে থাকে হামলাকারীরা। তারা আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে গেছে।

এদিকে আজকের মধ্যে হামলাকারীরা গ্রেফতার না হলে বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সেনাক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ডা. শর্মী রায় আরও বলেন, শিমুলের বাড়িতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুফতি কামাল হোসেন একটি বেসরকারি ক্লিনিক করেছেন। তিনিই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছেন।

এ বিষয়ে ডা. মুফতি কামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দিলে অন্য এক ব্যক্তি বলেন, স্যার এখন আর এই নম্বর ব্যবহার করেন না।  

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, চিকিৎসকদের মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। চিকিৎসকদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মো. শিমুল শেখের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা চিকিৎসকদের জন্য খুবই হতাশাজনক একটা ব্যাপার। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। হামলার কারণ এবং হামলাকারীদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম