Logo
Logo
×

সারাদেশ

নড়িয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে নির্মাণাধীন ব্রিজ

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

নড়িয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে নির্মাণাধীন ব্রিজ

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বেইলি ব্রিজ বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। এতে নড়িয়া উপজেলা শহরের সঙ্গে চরাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় বাল্কহেডটি জব্দ করার পাশাপাশি দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

বুধবার সকালে উপজেলার নড়িয়া বাজারসংলগ্ন কীর্তিনাশা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীর উপর ভাষাসৈনিক ডা. গোলাম মাওলা সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কাজের সুবিধার জন্য গত বছর ডিসেম্বর মাসে পুরোনো সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়। 

এরপর থেকে নদী পারাপারের জন্য ট্রলারের ব্যবস্থা করা হয় এবং পরবর্তীতে জনসাধারণের হাঁটার জন্য সড়ক স্বাভাবিক রাখতে নদীর উপর একটি বেইলি ব্রিজ (বাইপাস) প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছিল। 

বুধবার সকাল ৯টার দিকে একটি বালুভর্তি বাল্কহেড সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সেতুর দুটি স্প্যান ভেঙে পড়ে যায়। এ সময় সেতুর উপরে কাজ করা অবস্থায় এক নির্মাণ শ্রমিকসহ ৩ জন আহত হন। 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাল্কহেডের চালক হাসান হাওলাদার (৩০) ও সোহেল কিবরিয়া (২৬) নামে দুজনকে আটক করে। এতে নড়িয়া উপজেলা শহরের সঙ্গে মোক্তারের চর, জপসা, রাজনগর, নশাসনসহ চরাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

নড়িয়া পৌর এলাকার হাসেম বেপারী, রুহুল মিয়া, রনি খান বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার কাজ করার কারণে নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে পড়ে গেছে। এতে জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে।  

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, কীর্তিনাশা নদীর উপর নির্মাণাধীন বেইলি সেতুর সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রাফিউল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় জনসাধারণের চলাচলের স্বার্থে আমরা একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করে দিচ্ছিলাম। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের চালক ধাক্কা দেয়। তাতে আমাদের একটি পায়ার ভেঙে পড়ে যায়। যার ফলে ব্রিজটি চালু করতে আমাদের আরও ৩-৪ মাস সময় বেশি লেগে যাবে। ২ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় ঠিকাদার মামলা করবেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম