চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল দেড় কোটি টাকা!
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
নাটোর সদরের লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়ায় একটি চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা।
লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন এই আলোচিত চালকলের মালিক।
চালকল হিসেবে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করলেও এখানে ধান-চাল মাড়াইয়ের কোনো কাজ হয় না। দেশের বৃহত্তম প্রধান ওষুধি গ্রাম লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়ার ভেষজ চাষিদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্য চূর্ণ (গুঁড়া) করার কাজে এই চালকলটি ব্যবহার করা হয়।
চালকলের মালিক মো. জালাল উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, গত এক বছরের হিসাব মতে গড়ে প্রতি মাসে তার চালকলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫ হাজার টাকা। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি বেশ কিছুদিন নিজের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারেননি। সোমবার চালকলে এসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখে তার মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়।
বিলে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে এক কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিল হাতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তর নাটোর শহরের ফুলবাগান এলাকায় ছুটে যান। এ সময় বিলিং সহকারীদের কাছে অভিযোগ জানালে তারা সমস্যার কোনো সমাধান না করে উলটো তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
এছাড়াও নাটোর সদরের হয়বতপুর বাজারের চালকল মালিক কালাম সরকারসহ একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সহকারীরা মাঝে মধ্যেই এ ধরনের ভুল করে তাদের বিপদে ফেলেন। পরে যোগাযোগ করলে তাদের নানা কথা শোনানো হয়। সংশোধনের জন্য তাদের মহাব্যবস্থাপক পর্যন্ত যেতে হয়।
এসব বিষয়ে জানার জন্য নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহাব্যবস্থাপকের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে জনৈক আবু নাসের নিজেকে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে জানান, মহাব্যবস্থাপক অসুস্থ, তাই ফোনটি তার কাছে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিলটি মানবিক ভুলে হয়ে গেছে। অতি দ্রুত বিলটি সংশোধন করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এবং যিনি এমন ভুল করেছেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি জানান।