গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ঝুট (কারখানার পরিত্যক্ত মালামাল) ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মহানগরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- শামীম খন্দকার, আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় এসট্টো নিটওয়্যার লিমিটেড নামের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝুট (কারখানার পরিত্যক্ত মালামাল) ব্যবসা করে আসছে। সরকার পতনের পর জেলার কারখানার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ওই কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করে গাজীপুর মহানগরীর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান। তাদের নেতৃত্বে ওই কারখানা থেকে মঙ্গলবার সকালে ঝুট মাল বের করতে যায় তাদের লোকজন। এ সময়ে একই ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির কর্মী আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকারসহ ১০-১৫ জন তাদের ঝুট মালামাল বের করতে বাধা সৃষ্টি করে।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সালাউদ্দিন, বিপ্লব খান, পাভেল হোসেন, পলাশ মিয়াসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন মারাত্মক জখম হন। পরে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়।

দুপক্ষের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনার সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

পরে আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, অনেকেই তার জড়িত থাকার কথা বলছেন; কিন্তু তিনি এই ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, ওই কারখানায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ঝুট ব্যবসা করেন। তাদের বাধা দিতে গিয়েছিল আরেকটি পক্ষ। তখন দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।

কোনাবাড়ী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। একজন হয়তো সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।