চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ির তিন গোডাউন ও দোকানে তালা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ির তিন গোডাউন ও দোকানে তালা
দাবিকৃত ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি গোডাউন তালা লাগিয়ে দিয়েছে সংঘবব্ধ একটি চক্র। এই ঘটনায় থানায় গিয়েও কোনো সহায়তা পাননি ওই ব্যবসায়ি। উলটো প্রাণনাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা কাঁধে নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক ব্যবসায়ি।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ি আবদুল আওয়াল বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রিয়াজউদ্দিন বাজারে ‘এ রহমান এন্টারপ্রাইজ’ নামে দোকানে সরকারী সকল ডকুমেন্ট নিয়ে পাইকারী প্রসাধনী আইটেমব্যবসা করছেন তিনি। তার ছোটভাই ওয়ালিদ হোসেন বিলিভ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের সেইলস অফিসার হিসাবে কর্মরত থাকাবস্থায় বিগত ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর চাকুরি হতে অব্যাহতি নেন। এরপর মাঝেমধ্যে ওয়ালিদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতেন। সম্প্রতি রিয়াজউদ্দিন বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাবি করে আসছেন তার ছোটভাই ওয়ালিদ হোসাইনের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা পান। এই টাকার দায়ভার নেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন তামাকুন্ডি লেইন বনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। পরে তা মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে কথিত এ লেনদেনের দায়ভার নেওয়া বা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা নিতে অস্বীকার করায় নগরের তামাকুন্ডি লেইন বনিক সমিতি সভাপতি ও সেক্রেটারির পরামর্শে মিজানুর রহমান, ফারুক আজম, শফিউল আজম, আরফাত হোসেন, মো. আলমগীর ও শহীদ উল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জোরপূর্বক তার দোকান ও তিনটি গোডাউন তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
গত ৬ আগস্ট থেকে অদ্যবধি তিনটি গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ থাকার তার দোকানের বিভিন্ন প্রসাধনী মালামাল মেয়াদোত্তীর্ন ও নষ্ট হয়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাছাড়া গোডাউনে থাকা ৭০ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন কোম্পানীর লেনদেন আটকে রয়েছে তার। এর ঘটনায় তিনি থানায় আইনগত সহায়তা না পেয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। এ মামলার পর আসামিরা প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ি আবদুল আওয়ালের।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান ও ভোটভাই মুসন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রউপদেষ্টা, আইজিপি, ডিসি ও সিএমপি কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা এবং ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার সাহার্য্য কামনা করেছেন।